অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশ ও জাতির কল্যাণই হবে ছাত্র রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। কোনো ধরণের লোভ-লালসা বা হীন স্বার্থ চরিতার্থের মনোবৃত্তি যেন ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে আবদুল হামিদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এ দেশের ছাত্ররাই মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ মহান মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিপুল অবদান রেখেছে।
তাদের অবদান জাতি আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। ছাত্র সমাজের সেই গৌরবময় ঐতিহ্যকে ধারণ করে বর্তমান শিক্ষার্থীরা জাতি গঠনে অবদান রাখবে- জাতি তা প্রত্যাশা করে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ রজায় রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশ ও জনগণের কাছে আমরা প্রত্যেকেই দায়বদ্ধ।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় জনগণের অর্থে। যেখানে পড়ালেখা করে আমাদের সন্তানরা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও সুনাম বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মানুষ গড়ার কারখানা, আর আপনারা তার মহান কারিগর। তাই কী ধরণের মানবসম্পদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করবে, তারা সমাজের জন্য কতটা কল্যাণকর হবে, সর্বোপরি তারা বিশ্বমানের হবে কিনা- এ সকল প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর নির্ভর করছে আপনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও জ্ঞানের ওপর।
আমার বিশ্বাস- ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে আপনারা আপনাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার ওপর জোর দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, পৃথিবীতে ‘যোগ্যতমের টিকে থাকা’ কথাটা কল্পনা নয়, অতি নির্মম এবং সত্যও বটে।
বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের বিশ্বমানের কারিক্যুলাম ও পাঠ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে আন্তর্জাতিক মানের।
সমাবর্তনে ৬৪০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সনদ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১৫ জনকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক।
সমাবর্তন বক্তা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরীসহ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ইউজিসির চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য মো. আব্দুস সাত্তার প্রমূখ।